ভুল পদ্ধতিতে শরীরচর্চায় হতে পারে মারাত্মক বিপদ

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে শরীরচর্চাটা খুবই প্রয়োজনীয়। করোনাকালে সুস্থ থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। কিন্তু হঠাৎ করেই বেশি এক্সারসাইজ করতে যাওয়া ঠিক নয়। নিয়মিত ফিটনেস রুটিন মেনে চলাই হতে পারে শরীর-মন সুস্থ রাখার অন্যতম হাতিয়ার।

কোভিডের সময়টাতে অনেকে অনলাইন ক্লাসে বিভিন্ন ধরনের শরীরচর্চার অভ্যাস করছেন। এসব দেখে হুটহাট যদি এক্সারসাইজ শুরু করেন, কোনো লাভ হবে না। বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ সামনে থেকে সুপারভিশন না হলে যদি কোনো মুভমেন্টে গোলমাল থেকে থাকে, সেটা তো কেউ ঠিক করে দিতে পারছে না সবসময়। ভুলভাল মুভমেন্টের ফলে অনেকসময় শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যেটা করা উচিত, সেটা হলো একটা ব্যালেন্সড ডায়েট এবং ফিটনেস রুটিন মেনে চলা। এই লাইফস্টাইল নিয়মগুলোই করোনাকে ঠেকানোর প্রধান হাতিয়ার।

কিন্তু যারা করোনাকালে বাড়িতে বসে রয়েছেন দিনের পর দিন, তারা নিজেদের সজীব রাখতে, বাড়ির মধ্যে যদি একটু জায়গা থাকে বা যেকোনো ঘর বা বারান্দায়, সেখানে একটু দ্রুত হাঁটার অভ্যেস করতে পারেন। বাড়িতে সিঁড়ি থাকলে তো কথাই নেই, দ্রুত সিঁড়িতে ওঠানামা করুন। একমিনিট ওঠানামা করলেন, তারপর অল্পক্ষণ বিশ্রাম নিলেন, এভাবে দশ থেকে পনেরবার করুন, যাতে ব্রেথলেসনেস হয়। অর্থাৎ আপনার হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াইগুণ বাড়ে। অল্প অল্প করে শুরু করুন, যতোটা আপনার শরীর নিতে পারে। হার্ট যতো বিট করবে, ততো রক্ত হার্টে যাবে এবং ফুসফুসের ক্ষমতাও ততো বাড়বে।

বাড়িতে ভালো এক্সারসাইজ হলো স্কিপিং। কিন্তু পুরোটাই করতে হবে খুব সাবধানে। যারা হঠাৎ করে শুরু করবেন বলে ভাবছেন, অনেক সময়ই এক্সারসাইজের ইমপ্যাক্ট নেওয়ার জন্য তৈরি থাকে না তাদের শরীর। ফলে চোট-আঘাত লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই এক্সারসাইজগুলো ঠিকভাবে করতে পারলে কিন্তু এন্ডরফিন নিঃসরণও হয়, যার ফলে মন ভালো থাকে। কিন্তু প্রপার সুপারভিশন ছাড়া কোনো এক্সারসাইজই করা উচিত নয়।

তাই যদি এখন শরীরচর্চা শুরু করেন, তাহলে বাড়ির ভেতরে একটু জোরে হাঁটা বা সিঁড়ি ওঠানামা করার মতো সিম্পল জিনিস দিয়েই শুরুটা করতে পারেন। আর এই দুঃসময় কেটে গেলে ঠিকঠাক সুপারভিশনে এক্সারসাইজ অভ্যাস করুন। অসুখবিসুখ তো হবেই, কিন্তু শরীর তৈরি থাকলে তার মোকাবিলা করাও সহজ হবে। সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক। সম্পাদনা ম/হ। রু ২৩০৯/০২ 

Related Articles