আরেক দফা বাড়ল চাল-ডালের দাম

বাড়তি দরে বিক্রি হওয়া চাল ও মসুর ডালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এই দুঃসংবাদের মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ভোজ্যতেল। সদ্য বিদায়ী বছরে এই নিত্যপণ্যটির দাম কয়েকবার বাড়ার পর আরেক দফা বাড়ানোর আলোচনা চলছে। ব্রয়লার মুরগি, আটাসহ আরও কয়েকটি পণ্যের দামও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে তাদের।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁওয়ের কলোনিবাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা দাম বেড়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি করছেন ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়। আট-দশ দিন আগেও এটা বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। মিনিকেট চালের কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। এটা এত দিন পাওয়া যেত ৫৬ থেকে ৬০ টাকায়।

এ ছাড়া স্বর্ণা ও বিআর-২৮ জাতীয় চালের (মোট চাল) দামও বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত। এই মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে। যদিও চাহিদার শীর্ষে থাকা এই চাল এত দিন কেনা যেত ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ জানান, বৈশাখ মাসের দিকে ইরি ধান উঠেছিল। তখন চালের দাম কমার কথা থাকলেও তা আশানুরূপ হয়নি। এখন আমন ধানের মৌসুম চলেছে। তবু দাম বাড়ছে। আমদানি বন্ধ থাকাও চালের দাম বাড়ার একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

দুই-তিন মাস আগে ২০ টাকা বেড়েছিল মসুর ডালের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ১০ টাকা বেড়েছে এই পণ্যটির দাম। আমদানি করা মসুর ডালের কেজি এত দিন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। আর দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। এটা এত দিন বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। বড় ব্যবসায়ীরা আমদানি করা ডালের দাম বাড়ানোর কারণে দেশি ডালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা। সূত্রঃ সমকাল। সম্পাদনা ম\হ। না ০১০৭\১২

Related Articles