উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে

উন্নয়ন বিহীন আশুগঞ্জ বন্দর। নৌবন্দর ঘোষণার এক দশক হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দরে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। একটি মাত্র জরাজীর্ণ জেটিতেই চলছে কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম। এতে দুর্ভোগে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ, শিগগিরই শুরু হবে নির্মাণ কার্যক্রম।

২০১১ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের নৌবন্দরটি দিয়ে মালামাল পরিবহন হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্দরটির গুরুত্ব বেড়ে যায়। পরে বন্দরটির উন্নয়নে উদ্যোগ নেয় সরকার।

প্রস্তাবিত প্রকল্পে ভূমির অধিক মূল্যের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য না থাকায় ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। ফলে বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ একটি মাত্র জেটিতেই চলে পণ্য খালাসের কার্যক্রম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে তারা বলেছেন, অনেক দূর থেকে পণ্য আনতে হয়। বাঁশ দিয়ে আমরা পণ্য উঠানামা করছি। পাশাপাশি লেবারের সমস্যাও রয়েছে।
এদিকে বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ছয়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬ একর জমি অধিগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্মাণ কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস কর্মকর্তাদের।

ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক শহীদ উল্যাহ বলেছেন, ডিজাইন করা শেষ, এখন ভারতীয় প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মতি পেলে, এটি টেন্ডারে চলে যাবে।

খুব দ্রুত এ কাজটি শেষ হবে এবং নির্ধারিত সময় ২০২৪ সালের মধ্যে এটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস।

সেই সঙ্গে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এই বন্দর নির্মাণ হলে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বণিজ্য আরও প্রসারিত হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী নেতারা। আশুগঞ্জ শহর শিল্প বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি বলেছেন, দুটি প্রকল্প শুরু হয়ে গেলে আমাদের আশুগঞ্জ ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ পুরো বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে।

বণিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, নৌবন্দরটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে প্রতি মাসে অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। সূত্রঃ সময় টিভি। সম্পাদনা ম/হ। রু ২৮১১/১১

Related Articles