অহর্ণিশ নীল
___________________________________
আলোকিত চাঁদের কাছে রেখে আসা পৃথিবীর যাবতীয় শুক সারী শ্লোক,
আলোর মত ফিরে আসছে যখন জোছনা হয়ে।
দেখি অজস্র কবিতার বৃষ্টি পড়ছে।
কবুতরের পাখায় পাখায়, ময়ূরের বাহারী পেখমের রঙ মিশে গেছে।
বেদনা বিধূর উৎসবে যারা মিছিলে যাবে বলে তৈরী।
তাদের দিকে তাকাই।
“নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে।”
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
হাত পেতে কুড়াই শ্রেষ্ঠ কবিতা যত!
রবীন্দ্রনাথ নাকি শেখ মুজিবুর রহমান?
দুঃখ এখানে বেদনার নীল হয়ে কেঁদে বেড়ায়!
ব্যস্ত জীবনের ধারাপাতে জুড়ে যায় আরো ৩৬৫ দিনের চোখের জল!
চোখ বলে ও জল তুমি থামো।
তবু জল ছলকায় জলের কাছেই।
অহর্ণিশ যে লক্ষিপেঁচা তাকিয়ে থাকতো,
তার চোখে জুড়ে থাকে জীবনের যাবতীয় চাহাত।
বিউগল বাজছে শোন।
মিছিলের জনারণ্যে দাঁড়িয়ে আবার ডাকো সবাই।
বলো,” জাগো বাহে,কোনঠে সবাই।”
নুরুলদীন ডেকে বেড়ায়।
ওপারে কোথায় কে জানে সৈয়দ শামসুল হক!
ইচ্ছে করেনা কোন শোকের ভিতর যেতে।
শুধু বারবার মনেহয়,
মীর জাফরের দল আরো কতকাল জেগে থাকবে,রক্ত পিপাসু হায়েনার চোখের ভিতর?
__________________________
সুলতানা শিরিন শাযী