আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বরিস জনসনের ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবর অনেকটা তির্যক দৃষ্টিভঙ্গিতে ফলাও করে প্রচার করেছে ইরানি গণমাধ্যম।
বুধবার দেশটির পত্রিকাগুলো প্রথম পাতার ছয় কলাম, কোনো কোনোটি আট কলামে এই খবর ছেপেছে। দুই দেশের মধ্যে পরস্পর তেল ট্যাংকার জব্দ নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হলেন বরিস।
পত্রিকাগুলোর খবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ব্রিটেনের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
দেশটির সংস্কারপন্থী পত্রিকা সাজানদাগির খবরে তাকে ‘ব্রিটিশ ট্রাম্প’ বলে আখ্যায়িত করেছে। পুরো একটি পাতাজুড়ে বরিস জনসনের ছবি ছাপিয়েছে পত্রিকাটি।
আর বরিস জনসনের পেছনের ওয়ালে ট্রাম্পের গড়নের ছায়া ফেলে একটি সম্পাদিত ছবি প্রকাশ করেছে রক্ষণশীল খবরের কাগজ জাম-ই-জাম।
রক্ষণশীল আরেক পত্রিকার শিরোনাম ‘কট্টরপন্থীদের ভোটে নির্বাচিত’ প্রধানমন্ত্রী শিরোনাম দিয়ে খবর ছেপেছে। পত্রিকাটি ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছে, বরিস জনসনের মেয়াদ হবে খুবই স্বল্প সময়ের।
অতিরক্ষণশীল রেসালাত একটি কার্টুন প্রকাশ করেছে লন্ডনের এই সাবেক মেয়রের। তাতে দেখা গেছে, ব্রিটিশ পরিচারক বরিস জনসন ওভাল অফিসে ডেস্কে বসা ট্রাম্পের মাথা মৃদু চাপড়ে দিচ্ছে।
তাদের শিরোনাম ছিল, বি-টিমের এখন পাঁচ সদস্য। তেহরানের প্রতি কট্টর মনোভাব দেখানো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশের কর্মকর্তাদের বোঝাতে বি-টিম শব্দটি প্রায়ই ব্যবহার করেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।
বি-টিমের পাঁচ সদস্য হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান, আবু ধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ। আর সর্বশেষ তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সূ ত্রঃ এ এফ পি