যোগাযোগ ডেস্ক:
এখন থেকে রাজধানীর গাড়ি রেকারিং ও ট্রাফিক প্রসিকিউশনে কোন নগদ টাকায় জরিমানা পরিশোধ বা লেনদেন হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে হোটেল রাজমনি ক্রসিংয়ে ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে কমিশনার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার অর্থ ব্যাংকে পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস থেকে জব্দ করা ডকুমেন্ট নেয়ার দিন শেষ। এখন থেকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার অর্থ ঘটনাস্থলেই পরিশোধ করা যাবে। এর ফলে নগরবাসীর মূল্যবান সময় অপচয় হবে না এবং জব্দকৃত ডকুমেন্ট হারিয়ে বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিক কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করা আমাদের স্বপ্ন ছিল। আগে কাগজে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা করলেও এখন POS মেশিনে প্রসিকিউশন দেয়া হয়। ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে ই-প্রসিকিউশন দেয়া হচ্ছে। মামলা দেয়ার সময় গাড়ির চালক বা গাড়ির ডকুমেন্ট রেখে ডিজিটাল প্রিন্টেড কেস স্লিপ দেয়া হয়। ওই কেস স্লিপের জরিমানা ব্যাংকে পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিসে গিয়ে জব্দকৃত ডকুমেন্ট ফেরত নিতে হতো। যা ছিলো অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়ের ব্যাপার।
এখন থেকে এই কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ কাজের অবসান হলো। আজ থেকে ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা ঘটনাস্থলে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করা যাবে। এতে গাড়ির চালক ও গাড়ির কোন ভ্যালিট ডকুমেন্ট জব্দ করার প্রয়োজন নেই। ইউক্যাশ, বিকাশ, রকেটসহ যেকোন মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ট্রাফিকের জরিমানার টাকা অন দ্য স্পট পরিশোধ করা যাবে।