ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। আজ শনিবার কোস্ট ট্রাস্টকর্তৃক সিরডাপ মিলনায়তনে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের উপর প্রভাব পর্যালোচনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রি একথা বলেন। বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরলে তাদের আদর যত্ন করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশের জেলেরা ভারতের এরিয়ায় বাংলাদেশি জেলেরা গেলে তাদেরকে জেল খাটতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে যেটা বাংলাদেশ করছে না।
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কারণ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে অপরিকল্পিতভাবে মাছ ধরার কারণে এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদেরকে মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলা হয়।
আমরা আমাদের মৎস্য সম্পদকে ধ্বংশ করতে চাইনা। এজন্য আমরা কিছু সময় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা করেছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমস্যার মূলে দাদন পদ্ধতি। ট্রলার মালিকরা মৎস্যজীবীদেরকে এমনভাবে শাষন করে সেটা অত্যান্ত অমানবিক। তারা জেলেদেরকে জোরপূর্বক দাদন নিতে বাধ্য করে। প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ট্রলার সনাক্ত করার জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সাথে চুক্তি করেছি। কিন্তু ট্রলার মালিকেরা তাতে রাজি নন। আমরা জেলেদের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি বলে জানান তিনি।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক বলেন, আমরা ৬৫দিন নিষেধাজ্ঞা করেছি এটা কেন? এটা মৎস্যজীবীদের কল্যাণে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সোয়া ৪লক্ষ জেলেকে ৪০ কেজি চাউল দিয়েছি। নিখোজ জেলেদের জন্য ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১৬ লক্ষ জেলেকে নিবন্ধিত করেছি। ১৪ লক্ষ জেলেকে আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ লক্ষ জেলেকে আইডি কার্ড দেওয়া হবে। এছাড়াও জাল তৈরির কারখানার মালিকদেরকে বলা হয়েছে অবৈধ জাল তৈরি করা হলে কারখানায় সিলগালা করে দেওয়া হবে।
সেমিনারে বিভিন্ন জেলার মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক, এনজিও সংস্থা ও মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।