নিজেদের আরাম আয়েশে অভাব হবে বিধায় এনজিও কর্মকর্তারা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা ভাসানচর না যেতে ইন্ধন যুগিয়েছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে গেলেও সঙ্কটের শেষ হবে না। এটি হবে সাময়িক সমাধান। সরকার জোর করে কোন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠাবে না।
তিনি বলেন, “ভূমিধসের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে সরকার বর্ষার আগেই রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাতে চেয়েছিল। রোহিঙ্গারা সেখানে গেলে আশ্রয়ের পাশাপাশি জীবিকারও ব্যবস্থাও হতো। কিন্তু এনজিওদের ইন্ধনে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে রাজি হয়নি। কেননা সেখানে এনজিও কর্মকর্তাদের জন্য ফাইভ স্টার হোটেলের ব্যবস্থা নেই।”
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সাম্প্রতিক ব্যর্থ উদ্যোগ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, কেউ যদি রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোহিঙ্গা মহাসমাবেশের পর এই ইস্যুতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে।
গত ১৫ নভেম্বরের পর ২২ আগস্ট আবারো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ব্যর্থ হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূলে রয়েছে আস্থার অভাব। আস্থা তৈরীর জন্য কক্সবাজার ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা নেতা বা মাঝিদের রাখাইন সফরের ব্যবস্থা করতে প্রত্যাবাসন বিষয়ক চতুর্থ ওয়ার্কিং গ্রুপে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যাতে তারা প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা সরেজমিন দেখতে পারে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি। এই সঙ্কটের সমাধান তাদেরই করতে হবে। আমরা জোর করে কাউকে পাঠাব না। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে প্রচারণা চালানো এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হঁশিয়ারি উচ্চারন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার ফিরে না যাওয়ার জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অনেক এনজিও প্রচারণা চালাচ্ছে। এসব এনজিওদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।