সার্ভিস চার্জের নামে ২০ শতাংশ বেশি বিল আদায়!

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সার্ভিস চার্জের নামে রোগীদের কাছ থেকে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত বিল আদায় করা হচ্ছে। এই বিল নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের অভিযোগ থাকলেও বন্ধ হচ্ছে না। এতে রোগীদের ওপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে দেখা গেছে, বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে সিট ভাড়া, চিকিৎসা খরচ আদায়ে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। অপারেশন ও চিকিৎসায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও রি-এজেন্ট চিকিৎসা সেবায় ব্যবহার হচ্ছে। নেই চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান জনবলের নিয়োগপত্র। গত কয়েক দিনে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানকে  জরিমানা করেছে। এর আগে চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে ১৪৮টি চিকিৎসাকেন্দ্রে নানা অনিয়ম পেয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান ঝিমিয়ে পড়েছে। তাদের অভিযান দেখা যাচ্ছে না।
বেসরকারি ছোট-বড় প্রতিটি হাসপাতাল-ক্লিনিকে মোট বিলের ২০ শতাংশ অতিরিক্ত বিল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না। জানতে চাইলে বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, শুধু সিট ভাড়া নিয়ে হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। এখানে চিকিৎসা ফি চিকিৎসক নিয়ে যাচ্ছেন। ওষুধ খাতে ওষুধের টাকা চলে যাচ্ছে। আমরা পাচ্ছি শুধু সিট ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ।

চট্টগ্রামে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার মান নামীদামী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওপরও নির্ভর করা যাচ্ছে না। চট্টগ্রামে শেভরণ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। শেভরণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবার নামে চরম নৈরাজ্য সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মানুষের অভিযোগ এখন অভিযান চালাতে গিয়ে হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ধরা পড়েছে। মহানগরী ও জেলায় গত ২৯ আগস্ট থেকে টানা চার দিন অভিযান পরিচালনা করেছে। 
এ সময়ে নগরী ও জেলায় ১৪৮টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। তার মধ্যে ৬২টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ১২৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অনিয়মের কারণে ১১টি ক্লিনিক ও ৩০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনিয়ম সংশোধনের জন্য সময় দিয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের জরিমানার ক্ষমতা নেই।

অস্ত্র নিয়ে নয়, এবার ব্যালটের মাধ্যমে যুদ্ধ করতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ  বিষয়ক মন্ত্রীঅস্ত্র নিয়ে নয়, এবার ব্যালটের মাধ্যমে যুদ্ধ করতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, আমাদের অভিযান চলমান আছে। জনবলের সংকট থাকায় নিয়মিত হচ্ছে না। আমরা জনবল বাড়ানোর জন্য অধিদপ্তরে লিখেছি। দেশে স্বাস্থ্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত দক্ষ জনবলের সংকট রয়েছে। তাই শতভাগ শর্ত মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব নয়। তবে যাতে মোটামুটি শর্ত মেনে যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয় সেটা দেখা হচ্ছে। অভিযানে কোনো লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান আছে কি না তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।সূট্রঃ ইত্তেফাক। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ০৯২৭\০৬ 

Related Articles