কানাডায় মানসিক স্বাস্থ্যে ফের গুরুত্ব করপোরেটদের

মহামারির ২৬ মাস পরও কর্মক্ষেত্রে ফিরতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক কানাডিয়ান। মানসিক স্বাস্থ্যের যে চ্যালেঞ্জ তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কোম্পানিগুলোও কর্মীদের সহায়তা করছে।

কেপিএমজি কানাডার চিফ মেন্টাল হেলথ অফিসার ডেনিস ট্রটিয়ের বলেন, কর্মক্ষেত্রের চাপ কমাতে করপোরেট মনোভাবের পুরোপুরি বদল গুরুত্বপূর্ণ। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের পর্যালোচনাকে সাইড নোট হিসেবে না দেখে সাফল্যের মন্ত্র হিসেবে দেখা উচিত। এই সংস্কৃতিতে পরিবতন আসছে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

সুতরাং, চলুন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কিছু করি এবং সেই সংস্কৃতির দিকে যাই যেখানে এটিকে প্রতিদিনের এজেন্ডা হিসেবে আপনি রাখতে পারবেন। আপনি ও আপনার পুরো দলকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া এর উদ্দেশ্য নয়। বরং একটা পদ্ধতি খুঁজে বের করা যা আপনার সব সহকর্মীর কাছে পৌঁছাবে এবং তারা আপনার কথা শুনবে ও আপনাকে উৎসাহ জোগাবে। - Advertisement - ট্রটিয়ের বলেন, করপোরেট দায়বদ্ধতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্যকে মানবসম্পদের এক কোণায় ঠেলে না দিয়ে বৃহৎ কোম্পানিগুলোর উচিত এ জন্য একটি সুনির্দিষ্ট দল গঠন করা।

কানাডিয়ান মেন্টাল হেলথ সোসাইটির একটি অনলাইন প্রোগ্রাম বাউন্সব্যাক। এর মাধ্যমে মোটামুটি মাত্রায় উদ্বেগ ও বিষন্নতায় ভোগা প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকদের বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়ে থাকে। মাইন্ডবিকন ও অ্যাবিলিটিসিবিটি ভার্চুয়াল থোরাপি দিয়ে থাকে এবং কিছু প্রদেশে এটা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। অন্য প্রদেশগুলোতে বিমা সুবিধা রয়েছে। বিমাকারীরা এর ব্যাপক চাহিদা দেখতে পারছেন বলে জানিয়েছেন বিমাকারীরা।

মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এমপ্লয়ি অ্যান্ড ফ্যামিলি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রেগ্রামের আওতায় মানসিক স্বাস্থ্য বিমার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডা লাইফের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড ফেডরচাক। এক্ষেত্রে শীর্ষ তিন উদ্বেগ হলো ব্যক্তিগত চাপ, কর্মক্ষেত্রের চাপ ও উদ্বিগ্নতা। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পেশাগত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি কানাডা এর ৭ হাজার ৩০০ এর বেশি কর্মীকে বাধ্যতামূলক অফিসে ফেরানোর নীতিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতিরিক্ত পাঁচটি সাপ্তাহিক ছুটিও ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। সুত্রঃ সূত্রঃ বেঙ্গলি টাইমস। সম্পাদনা ম\হ। না ০৫২২\০১

Related Articles