ঠান্ডা আর তিক্ত স্বাদের নাগরমোথাকে কি চিনেন?

অযত্ন আর অবহেলায় বাড়ির আনাচে-কানাচে বেড়ে ওঠে এই ঘাসজাতীয় উদ্ভিদটি। এটি দেখতে অনেকটা সরু, নরম আর লম্বাটে হয়ে থাকে।

ঠান্ডা আর তিক্ত স্বাদের নাগরমোথা উদ্ভিদটিতে সাধারণত ফুল আসে জুলাই মাসে। আর এতে ফল আসে ডিসেম্বরের শেষ দিকে।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে, নাগরমোথার উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। এর এত ভেষজগুণ যে বলে শেষ করা যাবে না। ক্বাথ, রস বা চূর্ণ করে চিকিৎসা শাস্ত্রে এই উদ্ভিদকে ব্যবহার করা হয়।

শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া, জ্বর, দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ, চোখের দৃষ্টিগত সমস্যা, টিবি বা যক্ষ্মা রোগ, বমি বমি ভাব, হজমে সমস্যা, পেটের নানা পীড়া, ডায়রিয়া বা ক্ষুধামন্দায় নাগরমোথা সেবন করা যায়।

যাদের কৃমি সমস্যা আছে, কলেরা বা জন্ডিসের সমস্যায় ভুগছেন, গনোরিয়া, সিফিলিস কিংবা মৃগী রোগের মতো জটিল রোগে ভুগছেন তারা নিয়মিত নাগরমোথা সেবন করতে পারেন।

রক্তে কোলেস্টেরল ও পিত্তের সমস্যা, পাইলস,মাথা ব্যথা, হৃদ্‌রোগ, কুষ্ঠরোগ এবং মূত্রনালির সমস্যাতেও এই রস কার্যকর। হঠাৎ কোনো পোকামাকড়ের কামড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেও এর রস দারুণ কাজ করে।

এ ছাড়া যে কোনো ক্ষত বা ব্রণের দাগ থেকে নিস্তার পেতে বাহ্যিকভাবে এর রস ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, দৈনিক ৫ গ্রাম চূর্ণ কিংবা ২০ মিলি রস বা ক্বাথের চেয়ে বেশি সেবন করা একদমই উচিত নয়।সুত্রঃ সময়টিভি। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ১১০২\১৮ 

Related Articles