অস্ট্রেলিয়ায় বসেই ডাবিং

অভিনেতা তাসকিন রহমান অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। করোনা সংক্রমণের কারণে ঢাকায় ফিরতে পারছেন না। এদিকে ঈদও আসন্ন। ঈদে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে মিশন এক্সট্রিম ও শান। কী করা যায়? চিন্তায় পরিচালক।
অবশেষে মিলল সমাধান। প্রযুক্তির এই যুগে এ আর এমনকি! সিদ্ধান্ত হলো অস্ট্রেলিয়াতে বসেই ডাবিংয়ে অংশ নেবেন ঢালিউডের এ অভিনেতা। অনলাইনে যুক্ত হবেন পরিচালক ও প্রযোজক। ব্যস, হয়ে গেল। ঝটপট তাসকিনের অংশের ফুটেজ পাঠিয়ে দেওয়া হলো অস্ট্রেলিয়ায়।

সেখানকার সিডনি সাউন্ড ব্রিওয়েরি স্টুডিওতে শুরু হয়েছে ডাবিং। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক জন।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে এ অভিনেতা জানান, মার্চে তাঁর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আসতে পারেননি। এপ্রিলের শুরুর দিকে প্রযোজকেরা ছবির ফুটেজ পাঠিয়ে দেন।

কাজ করতে গিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে? উত্তরে তাসকিন বলেন, ‘না। ঢাকাতে আমরা যেভাবে প্যানেলে বসে ডাবিং করি, এখানেও সেভাবেই করেছি। আমার তো মনে হয়, অস্ট্রেলিয়ায় উন্নত প্রযুক্তিতে ডাবিং আরও ভালো হয়েছে।’ তাসকিন জানান, অপারেশন সুন্দরবন ও ক্যাসিনো নামে আরও দুটি ছবির ডাবিং বাকি আছে। দেশে ফিরতে না পারলে একই পদ্ধতিতে ছবি দুটির ডাবিং করবেন।

বাংলাদেশের ছবিতে কাজ শুরুর আগে দীর্ঘ সময় অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন তাসকিন রহমান। ঢাকাই সিনেমায় ব্যস্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ সময় ঢাকাতেই থাকতেন। গত বছরের ডিসেম্বরে চোখের চিকিৎসার জন্য আবার অস্ট্রেলিয়া যান তিনি। তাসকিন বলেন, ‘আমার চোখের অপটিক্যাল নার্ভের সমস্যা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে দুবার লেজার অপারেশন করেছি। এখন ভালো আছি, সুস্থ আছি।’

ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে খল চরিত্রে প্রথম নজর কাড়েন তাসকিন রহমান। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তাসকিনের সাতটি ছবি। ছবিগুলো হলো অপারেশন সুন্দরবন, শান, মিশন এক্সট্রিম, মিশন এক্সট্রিম ২, ওস্তাদ, ক্যাসিনো ও সিক্রেট এজেন্ট।

Related Articles