জীবনকে উপভোগ করতে কত সম্পদ দরকার-প্রশ্ন কাদেরের

দুর্নীতি দমন রোধে সেতুমন্ত্রী মন্তব্য প্রকাশ করলেন। লোভ- লালসায় যারা বেপরোয়া তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি করে যাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জীবনকে উপভোগ করতে কত টাকা, কত সম্পদ দরকার? মৃত্যুর পরে তো এ সম্পদ সাথে নিতে পারবেন না, তখন এসব সম্পদের কী হবে?

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সব কথা বলেন।

এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়েও তদন্ত করতে পারেন। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। প্রত্যেক সেক্টরে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিন।

এ সময় মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, লকডাউনের পর আবারো পরিবহনে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রী সাধারণের চলাচলে সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীর উত্তরায় পুনরায় চক্রাকার বাস সেবা চালু করা হয়েছে।

বিআরটিসির মতো সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি যাতে বাসা বাধতে না পারে সেদিকে কঠোর নজর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। সুতরাং যে কোনো মূল্যে বিআরটিসিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে বিআরটিসি ছিল দুর্নীতির আখড়া।

সরকার নাকি বেগম জিয়াকে ভয়ে বিদেশ যেতে দিচ্ছে না, বিএনপি মহাসচিবের এ অভিযোগের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই বেগম জিয়ার চিকিৎসা চায় কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে। যে নেত্রীর মুক্তির জন্য বিএনপি একটি মিছিলও করতে পারে না তাদের মুখে মায়াকান্না মানায় না। শেখ হাসিনা সরকার বেগম জিয়া কিংবা ক্ষয়িষ্ণু বিএনপিকে ভয় পায় না বরং তার বয়স এবং স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিয়ে সাজা স্থগিত করেছে চতুর্থ বারের মতো। এ উদারতা একমাত্র শেখ হাসিনাই দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার উদারতকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে।

সংবিধান সম্মতভাবেই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের জন্য বিএনপি প্রস্তুতি শুরু করেছে। সূত্রঃ সময় টিভি। সম্পাদনা ম/হ। রু ২০০৯/১৫ 


Related Articles