আদালতে গেলেন জেমস, মানতে পারছেন না ভক্তরা

জেমসকে আদালতে দেখে অনেকেই অনেক মন্তব্য করছেন। ব্যান্ড তারকা জেমস বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলা করতে আদালতে এসে চলে গেলেন। গতকাল রবিবার মামলা করতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার আবেদন করতে আসেন। কিন্তু আদালতের পরামর্শে মামলা না করেই চলে যান তিনি।

জানা যায়, জেমসের অনুমতি ছাড়া তার গান নিজেদের নামে কপিরাইট করে রেখেছে বাংলালিংক। এ বিষয়ে জানার পর জেমস আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলার আবেদন করেন।

নিজের সৃজনশীল কাজের জন্য দেশের 'মহাতারকা' মাহফুজ আনাম জেমসকেও আদালতে যেতে হলো- এটা মানতেই পারছেন না ভক্তরা। কেন জেমসকে আদালতে যেতে হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেন, ভক্ত ও সংশ্লিষ্টরা। 

সংবাদকর্মী ও সংগীতপ্রেমী নাজমুস সাকিব ফেসবুকে লিখেছেন, 'রকলিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু জিন্দা থাকতে কারো সঙ্গে ঝামেলায় যাননি। জেমস ভাই জিন্দা আছেন। কপিরাইট ইস্যুতে আদালত চত্বরে যেতে হলো তাকে। এমন না যে তাদের সঙ্গে যারা কাজ করেছেন (লিরিসিস্ট, কম্পোজার, ব্যান্ডের সদস্য) তারা খুব ভালো আছেন। নিজেদের পিক টাইমে তারা এদের দিকে মনোযোগী হয়েছেন কি না প্রশ্নসাপেক্ষ। অথচ এই মানুষগুলো তাদের ব্র্যান্ড হতে সাহায্য করেছেন। কেউ কি একা বড় হতে পারে!'

সাকিব বলেন, তার পরেও জেমস ভাইয়ের আদালতে যাওয়ার ছবি দেখে মন ভিজে উঠল। এ রকম দিন কখনো দেখতে চাইনি। অন্তত জেমস ভাইয়ের ক্ষেত্রে নয়।  অথচ সেই কবে অংশু ভাইয়ের লিরিক-সুরে তিনি গেয়েছিলেন, 'আদালতে দেখা হবে, কথা হবে তখন।' সেই গান এত দিন পর এসে সত্য হয়ে উঠবে ভাবিনি।' 

সংগীতশিল্পী প্রীতম বুধবার জেমসের আদালতে যাওয়ার একটি খবর ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, 'কপিরাইট অধিকার নিয়ে মামলা করার সময় আমার পাশে তো কোনো শিল্পী ছিলেন না। এবার না হয় জেমস ভাইয়ের পাশে দাঁড়ান। একজন আইয়ুব বাচ্চু যে অভিমান নিয়ে চলে গেলেন, জেমস ভাইকে সেই অভিমান থেকে বাঁচান।'

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, জেমস আদালতে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলার আবেদন করেন। শুনানিতে বিচারক গুলশান থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। তবে থানায় মামলা না নিলে আদালতে আসতে বলেন।

নগর বাউল জেমসের আইনজীবী তাপস কুমার বলেন, বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে মামলার আবেদন করতে আসেন জেমস। আদালতের পরামর্শে তিনি মামলা না করে ফিরে যান। সূত্রঃ কালের কণ্ঠ। সম্পাদনা ম/হ। রু ২০০৯/১৮  

Related Articles