বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী জ্বালানি তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে। কারণ জি-৭ গ্রুপের দেশগুলো রাশিয়ার তেলের দামের ওপর প্রস্তাবিত রেঞ্জ বা সীমা বেঁধে দিবে। তাছাড়া সরবরাহ ব্যবস্থায়ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।

এদিকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চীন অপরিশোধিত তেল আমদানি কমিয়ে দিতে চাইছে। যার প্রভাবেও অপরিশোধিত তেলের দাম নিম্নমুখী।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৫২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৮৪ দশমিক ৮৯ ডলারের নেমেছে। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে নেমেছে ৭৭ দশমিক ৭৯ ডলারে।

রাশিয়ার তেলের ওপর পরিকল্পিত মূল্যসীমা বর্তমান বাজার স্তরের চেয়ে বেশি হতে পারে। এমন খবরে বুধবার (২৩ নভেম্বর) তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দামই ৩ শতাংশ কমেছে।

আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ২ শতাংশ কমেছে

তবে এক ইউরোপী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জি-৭ দেশগুলো রাশিয়ার সমুদ্রপথে পরিবহন করা তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে নির্ধারণ করতে চাচ্ছে। যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারগুলো এখনও এ দামের বিষয়ে একমত হয়নি।

যে মূল্যসীমা নির্ধারণ করা হবে তা যদি বর্তমান মূল্যের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রাশিয়া তেল বিক্রি স্বাভাবিক রাখবে। এতে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে সরবরাহ ঘাটতির যে ঝুঁকি রয়েছে তা কমে যাবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়া ক্যাপ সমর্থনকারী দেশগুলোয় তেল ও গ্যাস সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে না। তবে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

পিভিএম তেল বিশ্লেষক তামাস ভার্গ বলেন, যখন কেউ দেখবে যে রাশিয়ার বর্তমান তেল রফতানির মূল্য জি-৭ দেশগুলোর প্রস্তাবিত সীমার নিচে, তখন রাশিয়ার রফতানিও বেড়ে যাবে।সূত্রঃ রয়টার্স। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ১১২৫\০৪ 

Related Articles