পুনরায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা খোলার পরিকল্পনা

করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত অনাবশ্যক ভ্রমণকারীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে স্থল ও আকাশপথে যাত্রী চলাচল নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। এ বিধিনিষেধের বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে কানাডার পর্যটন খাতে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পুনরায় খোলার পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পুরোপুরি টিকা নেওয়া মানুষ কীভাবে এই দুই দেশের মধ্যে আরও সহজে ভ্রমণ করতে পারে সে সম্পর্কে বিধিনিষেধ শিথিল করার পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিলেও এর দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য নিয়ম-কানুন কীভাবে শিথিল করা যায় আমরা সেটা নিয়ে কাজ করছি। তবে সেটা বিজ্ঞানের ভিত্তিতে। যারা উভয় ডোজ ভ্যাকসিনই নিয়েছেন তাদের জন্য ভ্রমণ বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা আগামীতে আসবে।

ধীর গতিতে শুরু হলেও কানাডার ভ্যাকসিনেশনের গতি সম্প্রতি অস্বাভাবিক বেড়েছে। সোমবার পর্যন্ত অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৬২ শতাংশ কানাডিয়ান। উভয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৮ শতাংশ বা ৩০ লাখ কানাডিয়ান। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ শতাংশ নাগরিক এরই মধ্যে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন। তিন সপ্তাহ আগে কানাডায় উভয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতা ছিলেন মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

ট্রুডো বলেন, এখনও অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি, বিশেষ করে নতুন ভ্যারিয়েন্টের চরিত্র ও তাদের সম্ভাব্য বিস্তারের কথা ধরলে। যদিও লক্ষ্যণীয় মাত্রায় সুরক্ষা দিতে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এক ডোজই যথেষ্ট তারপরও এ সুরক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয়। তাই জনগণের উচিত উভয় ডোজের ভ্যাকসিনই নেওয়া। সে কারণেই উভয় ডোজের ভ্যাকসিন যারা নিয়েছেন বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে তাদের কথা ভেবেই।

উল্লেখ্য, সীমান্তের মেয়াদ ২১ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মেয়াদ আরও ৩০ দিন যাতে না বাড়ানো হয় সেজন্য ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তবে ২১ জুনের পর পরিস্থিতি যে বদলে যাচ্ছে সে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। সূত্রঃ বেঙ্গলি টাইমস। সম্পাদনা ম\হ। না ১২০৬\১২

Related Articles