দূর্গাপূজা সামনে রেখে খানসামা উপজেলায় ১৪৭ মন্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের  কাদামাটি, খড়, বাঁশ, কাঠ আর রং দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে শেষ মূহুর্তে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা। যথাসময়ে প্রতিমা সাজিয়ে পূজারীদের হাতে তুলে দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা বানানোর কাজ করছেন তারা।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা প্রতিবছর শরৎ ঋতুতে অনুষ্ঠিত হয় এবং পূজা উদযাপন প্রস্তুতি ব্যাপক আগে থেকেই নেওয়া হয়। কিন্ত এবছর মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আমেজ কমলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে পূজা উদযাপনে অপেক্ষায় আছে হিন্দু ধর্মালম্বীরা।

আসছে আগামী ৬ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং উপজেলার সকল পূজা মন্ডপে প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। ১১ অক্টোবর বোধন শেষে ষষ্ঠী পূজা এবং আগামী ১৫ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) খানসামা উপজেলার কয়েকটি মন্ডপ সরেজমিনে ঘুরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে এক একটি প্রতিমা। প্রতিটি মন্ডপে তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। কয়েকজন প্রতিমা শিল্পী জানান, প্রতিমা গড়া শেষ হলে রঙতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হবে অবয়ব। ফুটিয়ে তোলা হবে নাক-চোখ-মুখ।

তাঁতী পাড়া দূর্গা মন্ডবে কর্মরত প্রতিমা শিল্পী রতন কুমার বলেন, প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের আর আগের মত লাভ হয় না। তারপরও করতে হয়। দুই একদিনের মধ্যেই তৈরি করা দুর্গার প্রতিমাগুলোর রং ও সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিমা তৈরীর মজুরি প্রতিমা সাইজ ও ধরণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।

খানসামা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধীমান দাস বলেন, উপজেলার ১৪৭ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠ ভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে প্রশাসন,পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

ওসি শেখ কামাল হোসেন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যাতে পূজা উদযাপিত হয় সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্ততি নিয়েছে থানা পুলিশ। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নিরাপত্তায় প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন থাকবে।

ইউএনও আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, এবছর স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারী নির্দেশনা মেনে দূর্গা পূজা উদযাপন করতে মন্ডব কমিটি, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুধীজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে ও সংশ্লিষ্টদের সর্বদা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।  সম্পাদনা ম\হ। না ০৯২৪\০৭

Related Articles