এবার দেবীর আগমন হাতিতে, ফিরবেন নৌকায়

আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ায় শুরু হবে দেবীপক্ষ। এ বছর সারাদেশের ৩২ হাজারের বেশি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা। মৃৎশিল্পীরা দিনরাত এক করে তৈরি করছেন দুর্গা প্রতিমা।

আকাশ জুড়ে শরতের ভেলা আর দিগন্ত জোড়া সাদা কাশফুলের দোলা জানান দিচ্ছে আসছে শারদীয় দুর্গোৎসব। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আর ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে হবে দেবীর বোধন।

শিল্পীর ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে দেবীর অবয়ব। প্রতিমার গায়ে যে দোমাটির প্রলেপ পড়েছে সেগুলোতে আবার সুক্ষ্মহাতে চলছে এঁটেল মাটির প্রলেপ। নিজের সৃষ্টিকে নান্দনিক আর দৃষ্টিনন্দন করতে সারাবছরের এই অপেক্ষা মৃৎশিল্পীদের।

মৃৎশিল্পীরা বলেন, “রথযাত্রা থেকে মায়ের কাজ শুরু করেছি। মাটির কাজ শেষের পথে, এরপর রং দিলেই পূর্ণতা পাবে। এবছর সব জিনিসের দাম বেশি তাই বায়নাটা কিছুটা কম।”

এ বছর ঢাকার ২৪১টি মণ্ডপে পূজিত হবেন দেবীদুর্গা। আর সারাদেশের এ সংখ্যা ৩২ হাজারের বেশি। সব মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হবে প্রতিটি পূজা মণ্ডপ, আশা পূজা উদযাপন কমিটির।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, “বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সাথে আমাদের আলাপ-আলোচনা রয়েছে। বিশেষ করে মণ্ডপের নিয়ম-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বিষয়টিতে সৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্দেশনা পাঠিয়েছি।”

পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, “মায়ের পূজা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে সেটার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা। কিন্তু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সরকারের একটা নির্দেশনা আছে তাই আমরা অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করার জন্য বলেছি।”

এবছর দেবী দুর্গা মর্তে আসছেন গজে অর্থাৎ হাতিতে চড়ে আর কৈলাশে ফিরবেন নৌকায়। তাই বিশ্ব হবে শান্তিময়, অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে উদয় হবে শুভ শক্তির।সূত্রঃ একুশেটিভি। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ০৯১৮\০৭ 

Related Articles