'দেশে অদৃশ্য শত্রু হচ্ছে করোনা আর দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি'

দেশে এখন অদৃশ্য ও দৃশ্যমান দুইটি শত্রু বিরাজমান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অদৃশ্য শত্রু হচ্ছে করোনা আর দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি অদৃশ্য শত্রু করোনার চেয়েও ভয়ংকর।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।  

কাদের বলেন, গণতন্ত্রের বুলি মুখে নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালন-পালনকারী দল বিএনপি। 

বিএনপিকে মুখোশের আড়ালে বহুরূপী দানব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষ থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে, তাই বলে কেউ কাউকে শত্রু ভাবা ঠিক নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দায়িত্বশীল বিরোধীদল উন্নয়নের সহযাত্রী, কিন্তু বিএনপি নিজেরা তাদের কর্কট রূপ প্রমাণ করেছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে বিএনপি শত্রু মনে করে বলেই ৭৫'এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার নীলনকশায় জড়িত এবং সুবিধাভোগী তারা।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে শত্রু মনে করে বলেই ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি। 

বিএনপি নিরপরাধ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারে, সম্পদ নষ্ট করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় গিয়ে আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে বিএনপি। 

বিএনপি জনআতংকে ভুগছে তাই তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তারা ক্ষমতার হ্যালুসিনেশনে ভুগছে। তাই দেশের উন্নয়ন এবং উত্তরণ তাদের গায়ের জ্বালা বাড়ায়। ইতিহাস বলে বিএনপি যাদের বন্ধু তাদের শত্রুর দরকার নেই। 

এদেশের সমৃদ্ধি নয়, ধ্বংসই বিএনপির মনোবাসনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যাদের ক্ষমতা লিপ্সার কাছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়, যারা জনগণের কাছে যাওয়ার নৈতিক মনোবল হারিয়ে বিদেশি শক্তির দ্বারে ধরণা দেয়, তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি সাধনের জন্য দেশ ও জাতির যেকোন ক্ষতি করতেও প্রস্তুত। 

একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতোমধ্যে ইতিহাসের কাঠগড়ায় বিএনপির বিচার শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের মনে করেন, রাজপথ আর ভোটার বাক্স তার প্রমাণ। 

মিথ্যাচার আর প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে ঠেকেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্ষণ নয়, তর্জন-গর্জনেই ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের অর্জন সীমাবদ্ধ। 

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। 

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ সমকাল। সম্পাদনা ম\হ। না ১০০৬\১১

Related Articles