এক ডোজ ৩৫ কোটি টাকা!
- by Sanjana Bhuiyan
- November 24, 2022
- 100 views
এক ডোজ ওষুধের দাম ৩৫ লাখ ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকারও বেশি! বিশ্বের সবচেয়ে দামি এ ওষুধের নাম হিমজেনিক্স।
জিনগত রোগ হিমোফিলিয়া বি’র চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। অস্ট্রেলিয়ার বায়োটেক কোম্পানি সিএসএল বেহরিংয়ের আবিষ্কৃত বিশ্বের প্রথম জিন থেরাপি ওষুধ।
মঙ্গলবার এর অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটি (এফডিএ)। বুধবার স্বাস্থ্যবিষয়ক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ ও সিবিএস নিউজ।
এটি হিমোফিলিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি নতুন ওষুধ, যা মাত্র একবার নিলেই যথেষ্ট। যার আকাশছোঁয়া দামের কারণে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ওষুধে পরিণত হয়েছে। হিমোফিলিয়া মূলত রক্ত জমাট বাঁধায় সমস্যাজনিত একটি গুরুতর রোগ। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একটি বংশগত রোগ।
এ ধরনের রোগীদের রক্ত সহজে জমাট বাঁধে না। ফলে কোনো কারণে কেটে গেলে বা অস্ত্রোপচারের সময় রোগীদের শরীর থেকে রক্তপাত বন্ধ হতে চায় না। এটি তাদের মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে। রক্তে বেশ কিছু প্রোটিন থাকে, যারা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এদের ‘ক্লটিং ফ্যাক্টর’ বলা হয়।
গবেষণা বলছে, হিমজেনিক্স এক বছরের মধ্যে প্রত্যাশিত রক্তপাতের ঘটনা ৫৪ শতাংশ কমাতে সক্ষম। এটি ফ্যাক্টর আইএক্সের সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল ইনফিউশন (শরীরে প্রবেশ) থেকে ৯৪ শতাংশ রোগীকে মুক্ত করেছে। বর্তমানে হিমোফিলিয়া রোগীদের সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ফ্যাক্টর আইএক্স ইনফিউশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।
বায়োটেকনোলজিতে বিনিয়োগকারী ও লোনকার ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্র্যাড লোনকার বলেন, হিমজেনিক্সের দাম যদিও একটু বেশি, তবুও আমি মনে করি, এটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম কারণ, বিদ্যমান ওষুধগুলোও অনেক ব্যয়বহুল।
দ্বিতীয়ত, হিমোফিলিয়া রোগীরা ক্রমাগত রক্তপাতের ভয়ে থাকেন। তাই তাদের কাছে জিন থেরাপি আকর্ষণীয়ই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সেন্টার ফর বায়োলজিক্স ইভালুয়েশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস বলেছেন, হিমোফিলিয়ার চিকিৎসায় যদিও অগ্রগতি হয়েছে, তবে রক্তপাত প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো রোগীদের জীবনযাত্রার মান নষ্ট করতে পারে। ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে ইউনিকিউর এনভি কারখানায় তৈরি হবে জিন থেরাপি হিমজেনিক্স।সূত্রঃ যুগান্তর। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ১১২৪\০৪