কানাডায় মহামারি সহায়তার যোগ্যতা শর্ত শিথিল

কোভিড-১৯ মহামারির সাম্প্রতিক ঢেউয়ের পরিপ্রেক্ষিতে দুই সহায়তা কর্মসূচির জন্য যোগ্য হওয়ার শর্ত শিথিল করেছে ফেডারেল সরকার। এর মধ্যে ধুকতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোয় কিছুটা প্রাণ ফিরবে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে লোকাল লকডাউন প্রোগ্রাম ও কানাডা ওয়ার্কার লকডাউন বেনিফিট কর্মসূচির জন্য যোগ্যতা অর্জনের শর্তে পরিবর্তন আনা হবে বলে আমার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।

লোকাল লকডাউন প্রোগ্রামের আওতায় এখন থেকে ৫০ শতাংশ ধারণক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মজুরি ও ভাড়ায় ২৫ থেকে ৭৫ শতাংশ ভর্তুবি পাবে। সহায়তা পেতে মাসিক রাজস্ব ক্ষতিও ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক সরকারগুলো যেসব এলাকায় ৫০ শতাংশ ধারণক্ষমতার সীমা বেঁধে দিয়েছে সেখানকার কর্মীরাও এখন কানাডা ওয়ার্কার লকডাউন বেনিফিট কর্মসূচির আওতায় আসবেন। এই কর্মসূচির আওতায় লকডাউনে থাকা কর্মীরা সপ্তাহে ৩০০ ডলার সহায়তা পেয়ে থাকেন।

ডলার করে পাবেন।

দ্য কানাডিয়ান প্রেস জানায়, এখন পর্যন্ত যা নিয়ম তাতে এই এলাকার কর্মীদের আলোচ্য কর্মসূচির আওতায় সহায়তা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কর্মীদের বাড়িতে পাঠাতে হবে। নতুন ঘোষণায় এই শর্ত শিথিল করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, যেসব এলাকায় প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক সরকারগুলো ধারণক্ষমতার সীমা ৫০ শতাংশ বা তার বেশি কমিয়েছে সেসব এলাকার কর্মীদের ক্ষেত্রেও নতুন ঘোষণা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের মুখপাত্র জেসিকা এরিটো।

সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যোগ্যতার নতুন এ শর্ত ভুতাপেক্ষ ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর ধরা হবে।

এদিকে দ্য কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেস প্রিমিয়ারদের প্রতি ছোট ব্যবসার জন্য সহায়তা বাড়াতে অটোয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানায়। নতুন দফার সহায়তা কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছে ফেডারেশন। তবে একে নিখুঁত বলতে রাজি নয় তারা। সম্প্রসারিত এ কর্মসূচি কিভাবে কাজ করবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দ্য কানাডিয়ান চেম্বার অব কমার্সও। সূত্রঃ বেঙ্গলি টাইমস। সম্পাদনা ম\হ। না ০১০৯\০৫

Related Articles