আরও ২৩ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারিভাবে আরও ২৩ প্রতিষ্ঠানকে ৭৯ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে রয়েছে নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ৬১ হাজার টন এবং আতপ চাল ১৮ হাজার টন।
 
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। 
 
চিঠিতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যুজারি করা যাবে না। আমদনি করা চাল সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনপ্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রয় করতে হবে।  

আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দ প্রাপ্ত আমদানিকারকদেরকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে।  

এর আগে, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ নয় হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।  

এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরও কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি পাঠানো হয় এবং অনুমতিও মেলে।  

অস্থিতিশীল চালের বাজার। স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামল। নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ০৯২১\০৯ 

Related Articles