ইরানে ফ্লাইটে পেজার-ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

লেবানন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইরানও ফ্লাইটে পেজার ও ওয়াকিটকি বহন নিষিদ্ধ করেছে। গত মাসে হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত তারবিহীন যোগাযোগ ডিভাইস—পেজার ও ওয়াকিটকি—বিস্ফোরণের ঘটনায় সবাইকে হতবাক করে ইসরাইল। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

লেবাননের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতে ফ্লাইটে এসব ডিভাইস নিষিদ্ধ করে। একই পদক্ষেপ নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন্সও। এবার ইরানও একই পথে হাঁটছে। ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার মুখপাত্র জাফর ইয়াজেরলোর বরাতে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, ফ্লাইটে যাত্রীরা কেবল মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, তবে অন্য ইলেকট্রনিক যোগাযোগযন্ত্র বহন করা যাবে না।

এদিকে, গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরাইলের ভেতরে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, ইরানের ওপর মারাত্মক পাল্টা আঘাত আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময়ে ইরানে আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

বিশ্লেষকদের ধারণা, ফ্লাইটে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইরানের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির অংশ। গত মাসে লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হন, যার মধ্যে ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও ছিলেন।

এই নিষেধাজ্ঞাকে ইরানের নিরাপত্তা বাড়ানোর কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিস্ফোরণ বা হামলা প্রতিহত করা যায়। সূত্র: যুগান্তর /স/হ/ন ১৩/১০/২০২৪

Related Articles