গণসমাবেশের পর বিএনপির কর্মসূচি কী, জানালেন নেতারা

ফাইল -ছবি

তাদের দাবি, এসব কর্মসূচি থেকে সরকার পতনের বার্তা দিয়েছেন জনগণ। এবার জাতীয়ভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা। আন্দোলনের গতি কোন দিকে মোড় নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল দলের নেতাদের কাছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ১০ ডিসেম্বর লাখ লাখ নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা জানান, সরকার পতনের এক দফা লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ কর্মসূচি আরও কঠোর হতে পারে।

এসব বিষয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘এ সম্মেলনগুলো সরকারকে বার্তা দিয়েছে যে, তোমরা ক্ষমতা ত্যাগ কর। ফসল ঘরে কেটে না আনা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থামাবো না।’

টুকু আরও বলেন, আমাদের আন্দোলনের রূপটা পরিবর্তন হবে; তবে সেটা শান্তিপূর্ণভাবে। মহাসচিব ঘোষণা করবেন কী রূপে হবে আন্দোলন। এখন আমরা জাতীয়ভাবে কী প্রোগ্রাম দেবো, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।

এদিকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে বিপ্লবে রূপ নিয়েছে। সমাবেশে যে জনগণ সমবেত হচ্ছে, এটিই বড় সফলতা।

খসরু আরও বলেন, কঠোরতা তো নির্ভর করবে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতির ওপর। আন্দোলন তার গতি-প্রকৃতি নিজেই বেছে নেয়; অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নেতারা সিদ্ধান্ত নেয়। যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছি, আমাদের লক্ষ্য একটাই - সরকার পতন।

এছাড়া আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকেই সরকারবিরোধী সব দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের সূচনা হতে পারে বলে মনে করেন দলটির অনেক নেতা।

এরই মধ্যে ১০টি বিভাগীয় সমাবেশের মধ্যে ৬টি সম্পন্ন করেছে দলটি। এককভাবে কর্মসূচি পালন করে নিজেদের শক্তির জানান দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন নেতারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না; বিভাগীয় সমাবেশে গণজোয়ার দেখে এমন বার্তা মিলেছে।

এর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান এক সমাবেশে বলেছিলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। তাই বিএনপির ডেটলাইন ১০ ডিসেম্বর যত সামনে আসছে, ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতিতে। ওইদিন কী হবে, বিএনপি কী করবে, সেদিকে নজর এখন রাজনৈতিক মহলসহ সর্বসাধারণের। সূএঃ সময়টিভি। সম্পাদনা না/রি। স ১১২২/০১

Related Articles