ট্রাম্পের শাসনে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন মোড়

ছবি: সংগৃহীত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ ও সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শি জিনপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে পেরুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উঠে আসে। বৈঠকে দু’জনই বাণিজ্য ও তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন এবং বাইডেনের শাসনামলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উত্থান-পতনকে স্বীকার করেন।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে চীনকে "কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী" হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভাইরাসটিকে "চীনা ভাইরাস" বলে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত করেছিলেন। 

ট্রাম্পের প্রশাসন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের সমালোচক সিনেটর মাইকেল ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে মনোনীত করা হয়েছে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লাতিনো বংশোদ্ভূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন। রুবিও চীনসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে চীনের কাছে করোনাভাইরাস মহামারিজনিত ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। তিনি চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের আহ্বান জানান, যা চীনের সামরিক ব্যয় কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করেন। 

ট্রাম্প তার বক্তব্যে বাইডেন প্রশাসনের চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে দুর্বল উল্লেখ করে চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষায় আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। সূত্র: সমকাল /স/হ/ন ১৭/১১/২০২৪

Related Articles