আলমডাঙ্গায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী সন্দেহের চোখে

ছবি: সংগৃহীত

আলমডাঙ্গায় রেললাইনের ওপর থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জ স্টেশনের কাছ থেকে পুলিশ তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ শীলা খাতুন (২৩) রোয়াকুলি গ্রামের রাসেল আলীর স্ত্রী এবং বলিয়ারপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে।

হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে তার মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং লাশ রেললাইনের ওপর ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশও প্রাথমিকভাবে হত্যার ধারণা করছে। জানা গেছে, রাসেল আলী এবং শীলা খাতুনের ৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। রোববার রাতে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, এরপর সোমবার সকালে শীলার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।

রোয়াকুলি গ্রামের ইউপি সদস্য লিমন আলী জানিয়েছেন, রাসেল সকাল ৭টার দিকে বলেছে যে শীলা রাত ৩টা পর্যন্ত তার বিছানায় ছিলেন। এরপর সকালে তার লাশ রেললাইনের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, শীলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং ধারালো অস্ত্রের ক্ষত রয়েছে। নিহত শীলার বাবা হামিদুল ইসলাম সন্দেহ করছেন যে, তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুবল কুমার জানান, শীলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশের এসআই মাসুদুজ্জামান জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে এবং ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।  সূত্র: যুগান্তর /স/হ/ন ১৯/১০/২০২৪ 

Related Articles