আট মাসে ২ হাজার ৩০১ জন কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহ

জানুয়ারি ২০২২ থেকে আগস্ট ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ১৫ জন কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহের খবর প্রকাশিত হলেও মাঠ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক গত আট মাসে ২৮টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২ হাজর ৩০১ জন কন্যাশিশুর বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয়েছে, প্রতিমাসে গড়ে ২৮৮ জন। জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষ্যে এমন তথ্য দিয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে এবং এডুকো বাংলাদেশের সহায়তায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের ২৪টি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকা থেকে শূন্য থেকে ১৯ বছরের কন্যাশিশুদের প্রতি নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। 
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে মোট ৭৬ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে এক জন বিশেষ শিশুও রয়েছে। এই নির্যাতনগুলোর অধিকাংশই সংঘটিত হয়েছে রাস্তায়, নিজের বাসায়, নিকটতম আত্মীয়-পরিজন ও গৃহকর্তার দ্বারা। যৌন নির্যাতনে একটি অপেক্ষাকৃত নতুন ধরন হচ্ছে, পর্নোগ্রাফি। সঙ্গে বাড়ছে আরো নানা ধরনের সাইবার অপরাধ।

তথ্য মোতাবেক, ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ১৫ জন কন্যাশিশু।  এই সময়কালে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে তিন জন কন্যাশিশু, অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ১৩৬ জন কন্যাশিশু। এই সময়কালে মোট ৫৭৪ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ৩৬৪ জন, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ৮৪ জন কন্যাশিশু, প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু ৪৩ জন। এই আট মাসে ১৫টি গৃহশ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে; এর মধ্যে দুই জনকে হত্যা করা হয় ও এক জন আত্মহত্যা করে। ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ১৮১ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। 
তথ্য অনুযায়ী, প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়ে ৪৬ জন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ৩৫ জন কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে। এই সময়কালে আত্মহত্যা করেছে ১৮৬ জন কন্যাশিশু। এছাড়া এই সময়কালে আট জন কন্যাশিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।সূত্রঃ ইত্তেফাক। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ১০০৩\০৪ 

Related Articles