এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক কমিটি বাতিল: ধর্মীয় আপত্তিতে বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গঠিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের সমন্বয় কমিটি বাতিল হওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে এনসিটিবি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ কমিটি বাতিলের কোনো কারণ জানানো হয়নি। ১৫ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠনের পর দুজন সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফার বিরুদ্ধে ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো আপত্তি তুলেছিল এবং তাদের জায়গায় আলেমদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছিল।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানিয়েছেন, কমিটি বাতিলের কারণ তার জানা নেই। তিনি আরও জানান, পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হবে না, কারণ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিমার্জনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান সরকার জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের কাছে আত্মসমর্পণ করছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি মনে করেন, সরকারকে ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও সমাজের বিভিন্ন অংশের সমান গুরুত্ব দিতে হবে, নাহলে বৈষম্যহীন সমাজ গঠন সম্ভব হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, কমিটি গঠন ও তার বাতিল কোনোটাই সঠিকভাবে হয়নি। কারিকুলাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষাবিদদের ভূমিকা থাকা উচিত ছিল, তবে তা অনুপস্থিত ছিল। তার মতে, শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা এবং পাঠ্যপুস্তকে সেই প্রতিফলন থাকা উচিত, যা এ প্রক্রিয়ায় দেখা যায়নি।

তিনি মনে করেন, সবার অংশগ্রহণে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা উচিত ছিল, যা শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা ও জব মার্কেটের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো। সূত্র: যুগান্তর /স/হ/ন ৩০/০৯/২০২৪

Related Articles