কারাগার ব্যবস্থাপনায় সংস্কার উদ্যোগ, পলাতক ৭০০ আসামি অধরা
- by Maria Sultana
- December 4, 2024
- 78 views
ছবি: সংগৃহীত
কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন জানিয়েছেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পলাতক ২২ শতাধিক আসামির মধ্যে ১৫০০ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো ৭০০-এর বেশি আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং শীর্ষ ৭০ জন দণ্ডিত আসামিও অন্তর্ভুক্ত।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। মহাপরিদর্শক বলেন, আলোচিত ১৭৪ জন আসামিকে আদালতের নির্দেশে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীও রয়েছে। তিনি জানান, মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল এবং কারা কর্তৃপক্ষ কেবল নির্দেশ পালন করে।
বর্তমানে দেশের ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ ও সংস্কারের অপেক্ষায়। সরকার এ বিষয়ে অবগত এবং সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করছে। গত তিন মাসে কারাগার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারা অভ্যন্তরে তল্লাশি জোরদার করা, বন্দী ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল স্থাপন, ঝুঁকিপূর্ণ কারাগারগুলোতে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন, এবং আধুনিক সরঞ্জামাদি যেমন জ্যামার ও বডিক্যাম সংগ্রহের পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বন্দীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে এবং তাদের প্রাপ্য সেবা যথাযথভাবে প্রদানের লক্ষ্যে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বন্দীদের খাবার সরবরাহ, চিকিৎসা সেবা, দেখা সাক্ষাৎ এবং টেলিফোন ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়ানো হয়েছে।
কারাগার ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির অংশ হিসেবে সফটওয়্যার, আরএফআইডি এবং জিপিএস প্রযুক্তি সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেবা প্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টার হটলাইন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
মহাপরিদর্শক আরও জানান, কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অধিদপ্তরের কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। সূত্র: সমকাল /স/হ/ন ০৩/১২/২০২৪