ফেসবুক ও টিকটক চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে সরকার
- by Maria Sultana
- July 31, 2024
- 168 views
ছবি- সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতামূলক কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশে মেটার তিনটি প্ল্যাটফর্মসহ টিকটক বন্ধ রয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। রবিবার মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধই রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) হাজির হয়ে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা দেওয়ার পর তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানাবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মেটার তিনটি প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় নির্ধারণ রয়েছে আজ। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইলে বন্ধ রয়েছে। এই তিন প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিকে বুধবার সশরীরে বিটিআরসিতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধু টিকটকের পক্ষ থেকে ইমেইলে সাড়া মিলেছে। তখন পর্যন্ত ইউটিউব ও মেটা বিটিআরসিকে কোনো জবাব দেয়নি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বুধবার পর্যন্ত আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে সময় দিয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম যে তারা লিখিত ব্যাখ্যাটা দেবে। কিন্তু আমরা এখনো তাদের লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা পাইনি।
তিনি বলেন, টিকটক ই-মেইলে একটা রিপ্লাই (প্রতিউত্তর) দিয়েছে যে, তারা এ নিয়ে খুব আন্তরিক। সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়। তারা ব্যাখ্যাগুলোও দিতে চায়। বাকি দুটি অর্থাৎ, মেটা ও ইউটিউবের সাড়া পাইনি।
সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আরেক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জানান, বুধবার সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় তিন প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। ওই সময়ের মধ্যে যদি তাদের ব্যাখ্যা পাই, সেটা বিশ্লেষণ করে আর যদি নাও পাই বিটিআরসিতে বসে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা সেই সিদ্ধান্ত (খোলার বিষয়ে) জানাতে পারব। সুত্রঃ যুগান্তর সম্পাদনা ম\হ। না ৩১/০৭\০১।