নবম নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ

ছবি- সংগৃহীত

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গলায় ছুরি ধরে সিএনজিতে তুলে বাড়িতে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে স্থানীয় দুই যুবক। ঘটনার পরদিন রোববার রাতে মেয়ের মা রায়পুর থানায় ৪ জনের নামে মামলা করেন। ঘটনাটি ঘটে রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে।

মামলার আসামিদের পরিচয় পাওয়া গেলে জানা যায় তারা হলেন- স্থানীয় কালু বেপারির হাট এলাকার জলিল মাস্টারের ছেলে মো. লিমন (২০), সৌদি আরব প্রবাসী খোকা বেপারির ছেলে এক সন্তানের বাবা আলআমিন (২৫), কৃষক মানিক বেপারি ছেলে আমজাদ (২০), নাসির ঢালির ছেলে বিবাহিত মো. শাকিল (২২)।

মামলার এজাহারে জানা যায়, দক্ষিণ চরবংশী ইউপির আশ্রয়ণ কেন্দ্রের কৃষকের কিশোরী মেয়ে ও নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৫) শনিবার সন্ধ্যায় মোমবাতি কেনার জন্য মুদি দোকানে যায়। ফেরার পথে গলায় ছুরি ধরে সিএনজিতে তুলে আলআমিনের বাড়িতে নিয়ে যায় স্থানীয় যুবক আমজাদ, লিমন ও শাকিল। পরে দুইজনের পাহারায় ওই ঘরেই লিমন ও আলআমিন গণধর্ষণ করে।  স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি নিজে।

এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় মেয়েটির মা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে জানালে রায়পুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। পরে মেয়েটিকে উদ্ধারের পর  থানায় নিয়ে চারজনের নামে ধর্ষণ মামলা করা হয়। রোববার দুপুরে মেয়েটি সদর হাসপাতালে পরীক্ষার পর আদালতে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেয়।

মেয়েটির মা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমি ও আমার স্বামী চরে দিনমজুরের কাজ করি। মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় সমাজের কাছে বিচার পাইনি। থানায় মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুরোজিত বড়ুয়া জানান, দুইজনের পাহারায় দুইজন গণধর্ষণ করেছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মেয়েটি।

রায়পুর থানার ওসি ইয়াসিন ফারুখ মজুমদার জানান, কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত করা হচ্ছে।  সুত্রঃ যুগান্তর সম্পাদনা ম\হ। না ০৪০৬\০১।

Related Articles