বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই

ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতি বছর ৩০ জন নারী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচ দেবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই)। বৃত্তিপাপ্ত শিক্ষার্থীরা এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে পড়ার সুযোগ পাবেন।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের পক্ষে উপাচার্য ড. রুবানা হক ৫ বছর মেয়াদি এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

এসময় মো. জাসিম উদ্দিন বলেন, সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে তৃণমূলের প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এফবিসিসিআই। এর মাধ্যমে সমাজে নারী ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের অংগ্রহণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন সভাপতি।

তিনি বলেন, ভারতসহ অন্যান্য দেশে শিল্পখাতের সঙ্গে শিক্ষাখাতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশেও এ সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। দক্ষ জনবল তৈরি ও শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ বাড়াতে এফবিসিসিআই’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বুয়েট ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও চুক্তি করেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ চলছে।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের উপাচার্য ড. রুবানা হক বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হতদরিদ্র নারীরা বিভিন্ন বাধাবিপত্তি কাটিয়ে পড়াশোনা করেন। অন্তর্ভুক্তিকরণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

তিনি জানান, ১৯ টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম আনিসুল হকের শিল্পখাতে ব্যাপক অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিভিন্ন জেলা চেম্বার ও অসোসিয়েশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা ব্যবসায়ীরা সারাজীবন মনে রাখবেন। 

বৃত্তি দেয়ার ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে আহ্বান জানান সিনিয়র সহসভাপতি। সেইসঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ৫ শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আহমেদ বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদের পেছনে রেখে দেশ এগোতে পারবে না। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষাকে সার্বজনীন করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন কামাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালকরা ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।সূত্রঃ সময়টিভি। সম্পাদনা ম\হ। বৈ ০৯১০\২৫ 

Related Articles