ঘি: সুপারফুড হলেও সবার জন্য নয়, সাবধান!

ছবি: সংগৃহীত

ঘি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচিত, আধুনিক বিজ্ঞানও এর অনেক উপকারিতা নিশ্চিত করেছে। এতে রয়েছে স্নেহপদার্থ বা ফ্যাট, ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। চিকিৎসকরা মনে করেন, ঘি খেলে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হয়, এজন্য ঘিকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়।

তবে, ঘি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ঘি খাওয়া অনুচিত। যারা বারবার হজমের সমস্যা বা পেট খারাপের মুখোমুখি হন, তাদের ঘি এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরিক্ত ঘি খেলে পেট ফোলা, বমি এবং বদহজম হতে পারে। এছাড়া গলব্লাডারের সমস্যা এবং গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদেরও ঘি পরিহার করা উচিত, কারণ এটি শরীরে ফ্যাট জমতে পারে। তবে, সীমিত পরিমাণে ঘি খেলে এটি অযাচিত খিদে কমাতে সাহায্য করে।

যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও ঘি খাওয়া উচিত নয়। ঘির মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি লিভারকে ক্লান্ত করতে পারে এবং সমস্যা বাড়াতে পারে। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, সম্পৃক্ত ফ্যাট লিভারের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়া যারা উচ্চ কোলেস্টেরলে ভুগছেন, তাদের ঘি, মাখন এবং তেল এড়িয়ে চলা উচিত। যদিও সীমিত পরিমাণে ঘি খেলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, তবে অতিরিক্ত ঘি হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ ফেলতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Related Articles