গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জর্ডান

ছীব: সংগৃহীত

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলাকে ‘বর্বর’ আখ্যা দিয়ে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গত ৬ অক্টোবর থেকে সেখানে সবকিছু অবরুদ্ধ করে নৃশংস রক্তক্ষয়ী অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক ঘন্টাগুলোতে জাবালিয়া শিবিরের অন্তত ১০টি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।  আল জাজিরার প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

জর্ডান নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি বলেছে, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন, বেসামরিক নাগরিকদের নিয়মতান্ত্রিক নৃশংস লক্ষ্যবস্তুর ধারাবাহিকতা। শুধু তাই নয় এটি ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধ’।

একইসঙ্গে এই হামলায় জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলে জানিয়েছে উপসাগরীয় দেশটি। 

জাবালিয়া গাজার বৃহৎ শরণার্থী শিবিরের অন্যতম। মাত্র দেড় বর্গকিলোমিটারেরও কম আয়তনের এই শিবিরে ১ লাখ ১৬ হাজারের মতো নিবন্ধিত শরণার্থী বাস করেন।  এমন জনবসতিপূর্ণ বাস্তচ্যুত বেসামরিক মানুষদের ওপর নির্বিচার হামলা করে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। অরণ্যে শিকারির হাত থেকে পাখিও পালাতে পারে। কিন্তু জাবালিয়ায় যা হচ্ছে সচেতনভাবে মানুষ নিধন। জাতি নির্মূলের অভিযান।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘ইসরাইল যুদ্ধাপরাধ এবং জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে।  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান উপেক্ষা করে যেভাবে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে, সে বিষয়ে ইসরাইল কিছু পরোয়া করছে না’।

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, চলতি মাসের ৬ অক্টোবর থেকে ৭৭০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল।  সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ‘ন্যূনতম’ নিরাপত্তার খোঁজে হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ গাজার দিকে পালিয়েছে। যদিও গাজার মানচিত্রে নিরাপদ বলতে কোনো ভূমি অবশিষ্ট নেই। সূত্র: যুগান্তর/ স/হ/ন 25/10/2024 

Related Articles