এমপি আজিম হত্যার পেছনে শিলাস্তির ভূমিকা রয়েছে

ছবি- সংগৃহীত

এমপি আজিম আনারের  হত্যার জন্য  গ্রেফতার করা হয়  শিলাস্তি রহমানকে। প্রথমে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেছিলেন আজিম হত্যার পেছনে তার তেমন কোনো ভূমিকা নেই। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা মনে করেন হত্যার আগে বা পরে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি। শিলাস্তিকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এমন্টাই বলেন তিনি। 

 কিন্তু এখন সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যতই হত্যা-কান্ডের  তদন্ত করা হচ্ছে তার ভূমিকাও স্পষ্ট হচ্ছে।

 আজিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেফতার শিলাস্তিসহ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। অন্য দুজন হলেন– শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও ফয়সাল আলী। শুক্রবার আট দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

 হত্যার সময় কলকাতার ওই  ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি।পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আজিমকে অভ্যর্থনা জানানোর দায়িত্ব ছিল শিলাস্তির। তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন। এর পর থেকে আজিমকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন, সিয়াম ও মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামা অন্য আসামিদের সঠিক নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। 

আবেদনে আরও বলা হয়, শাহীন কলকাতার নিউ টাউন এলাকায় ২৫ এপ্রিল একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। পরিকল্পনায় যুক্ত হন শিলাস্তি রহমান। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে শাহীন গত ১০ এপ্রিল দেশে চলে আসেন। পরবর্তী সময়ে শিমুল ও শাহীনের নির্দেশে অন্য আসামিরা ভুক্তভোগীকে কৌশলে ব্যবসার কথা বলে কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুল ভূঁইয়া অন্য আসামির সহায়তায় আজীমকে হত্যা করেন। হত্যার পর হাড়-মাংস আলাদা করা হয়। মাংসের ছোট ছোট টুকরো করে ফ্ল্যাটের টয়লেটের কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করা হয়।

এ ছাড়া হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অংশ ট্রলিব্যাগে করে কলকাতার নিউ টাউন থেকে দূরে একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যা ও হাড়-মাংস আলাদা করায় ফয়সাল, মোস্তাফিজ ও জিহাদ সরাসরি জড়িত।  সুত্রঃ যুগান্তর সম্পাদনা ম\হ। না ০২০৬\০১।

Related Articles