গরমে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ার কারণ

ছবি- সংগৃহীত

মাইগ্রেন একটি মারাত্মক ব্যাধি, অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা  রয়েছে।তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সতর্ক হওয়া উচিত।কারণ গরমে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। গরমে মাইগ্রেন বাড়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন-ডিহাইড্রেশন,সূর্যের তাপ, বায়ুর গুণমান,রুটিন পরিবর্তন,আর্দ্রতার মাত্রা।

 গ্রীষ্মকালে  মাইগ্রেন বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডিহাইড্রেশন। গরমের সাথে সাথে ঘাম বেড়ে যায়, যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশন রক্তের পরিমাণ কমাতে পারে এবং ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা পরিবর্তন করতে পারে। এ দুটি কারণ মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে।

আবার সূর্যের প্রখর তাপ ও  মাইগ্রেন বাড়ার অন্যতম  কারণ ।সূর্যের প্রখর তাপ মাইগ্রেনের রোগীদের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। 

দূষণ, পরাগ এবং অ্যালার্জেনের মতো কারণগুলি গ্রীষ্মের বায়ুর গুণমান খারাপ করতে পারে। বায়ুর গুণমান শ্বাসযন্ত্রের পদ্ধতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যার ফলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। 

 গ্রীষ্মকাল প্রায়ই দৈনিন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনে। যেমন-অতিরিক্ত গরমে ঘুম অনিয়মিত হয়,আর ঘুমের অনিয়ম হলে মাইগ্রেনের  সমস্যা বেড়ে যায়। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আসে, এর ফলে মানসিক চাপ, ক্লান্তি বাড়ে। পাশাপাশি হরমোনের স্তরে পরিবর্তন হয়। এসবই মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। 

গ্রীষ্মকালে বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কারও কারও  মাইগ্রেনের উপসর্গকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

মাইগ্রেন প্রতিরোধে যা যা করবেন-

১. মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির পাশাপাশি তরল পান করতে হবে, এটি খুবই গুরুত্বপুরণ। 
২. প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বের হলে টুপি এবং ছাতা ব্যবহার করতে হবে।
৩. মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে। 
৪. পর্যাপ্ত ঘুম মাইগ্রেন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই ঘুমের অনিয়ম করা যাবে না। সুত্রঃ সমকাল  ম\হ। না ২৪০৩\০১

Related Articles